জাকির সিকদারঃ সাভারের আশুলিয়ায় বাইপাইল পশ্চিম পাড়ার দরগারটেক এলাকা থেকে ফাহিমা বেগম (১৮) এক গৃহবধুকে জবাই করে হত্যা করার ঘটনায় অভিযক্ত স্বামী মজনু মিয়াকে খুলনার ডুমরিয়া থেকে আট করেছে পুলিশ।
রোববার বিকালে খুলনা জেলার ডুমড়িয়া থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে মজনু মিয়া আটক করে ডুমড়িয়া থানা পুলিশ। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশের একটি দল মজনু মিয়া আনার জন্য রওনা হয়েছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এস আই শাহাজাল মিয়া জানান, খুলনার ডুমড়িয়ায় গৃহবধূ ফাহিমা আক্তারের খুনের ঘটনায় সম্পৃক্ত স্বামী মজনু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে মজনু মিয়া আনার জন্য পক্রিয়া চলছে। তাকে আনার পর জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার আশুলিয়ায় বাইপাইল পশ্চিম পাড়া এলাকার একটি বাড়ির কক্ষ থেকে ফাহিমা নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় জবাই করে ঐ গৃহবধূকে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। ঘটনার পর থেকে স্বামী মজনু মিয়া পালাতক
আশুলিয়ায় পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে জবাই করে আশুলিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে বডি দ্বারা জবাই করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় স্বামী পালাতক রয়েছে। শুক্রবার পশ্চিম বাইপাইল এলাকার মনির হোসেনের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ১২ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ঢামেকের মর্গে প্রেরণ করেন। হত্যাকৃত ফাহিমা (১৯) জামালপুর জেলাধীন মাদারগঞ্জ থানার হোসেন আলীর মেয়ে।প্রাথমিকভাবে স্বামী মজনুর বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি প্রতিবেশীরা জনান, শুক্রবার সকালে মজনু ও তার স্ত্রী ফাহিমা অন্য দিনের ন্যায় ঘুম থেকে ওঠে এবং খাবার তৈরী করে খাবার খায়। এরপর থেকে তাদের দড়জা বন্ধ থাকে।
এক পর্যায় ঘরের মধ্য থেকে রক্ত গড়িয়ে বের হতে দেখে তারা ঘরে উঁকি দিয়ে ফাহিমার জবাইকৃত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।পুলিশ দুপুর ২টার দিকে ফাহিমার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে। ফাহিমা হেলপার ও মজনু কোয়ালিটি পদে বাইপাইল এলাকার ফাউন্টেণ নামের একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতো।ফাহিমার মা ফাতেমা জানান, ১৩ মাস পূর্বে ফাহিমার সঙ্গে মজনুর বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে মজনু ফাহিমাকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়েছে। তাকে ধরে এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবী জানান প্রসাশন মহলে
উল্লেখ্য, নিহত ফাহিমা বেগমের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানাধীন। তার স্মাীর বাড়ি একই গ্রামে। তারা দুইজনই আশুলিয়ার বেরণ এলাকার ফাউন্ডটেন নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করত বলে জানা যায়।